বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছেন। তারা ইয়াবার কারবারে জড়িত বলে বিজিবি’র দাবি। আজ ২৫ জুলাই, শনিবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকায় কথিত এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। এসময় ৩ জন সদস্য আহত হওয়ার দাবি করেছে বিজিবি সূত্র। নিহতরা হলেন- মো. ফেরদৌস (৩০) ও আব্দুস সালাম। তারা দুজনেই উখিয়ার বালুখালীতে অবস্থিত ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন। এ সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২নং বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান জানান, লেদা বিওপির সদস্যরা সীমান্তে টহল দেয়ার সময় ওই এলাকার মোচনীস্থ ছ্যুরিখাল এলাকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে মিয়ানমার থেকে কিছু লোককে সাঁতরে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখেন। এ সময় টহলরত বিজিবির সদস্যরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে ইয়াবা কারবারিরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এসময় বিজিবির তিন সদস্য আহত হন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে এভাবে ৪-৫মিনিট ‘গোলাগুলি’ হয়। তিনি আরো জানান, এক পর্যায়ে পাচারকারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা (যার বাজার মূল্য ৬ কোটি ৩০ লাখ), ১টি দেশিয় তৈরি এলজি বন্দুক, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ১টি ধারালো কিরিচসহ ২ জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের পরিচয় শনাক্তের পর দ্রুত তাদের চিকিৎসার জন্য টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন বলেও জানান বিজিবি’র এই কর্মকর্তা। নিহতদের মৃতদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আর এ বিষয়ে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে বিজিবি। জব্দকৃত ইয়াবা ও অস্ত্র টেকনাফ সদর ব্যাটালিয়নে জমা রাখা হয়েছে।